How to Start a Local SEO for Business in Bangladesh

How to Start a Local SEO for Business in Bangladesh

বাংলাদেশের লোকাল এসইও সার্ভিস খুবই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে এবং দিনকে দিন এর চাহিদা বেড়েই চলছে। যেহেতু এই ফিল্ডের চাহিদা অনেক, তাই আমাদের ভালোভাবে লোকাল এসইও শিখতে হবে। পাশাপাশি সেই স্ট্র্যাটেজি অনুযায়ী আমাদেরকে এগোতে হবে। আপনি ফ্রিতে বিভিন্ন প্ল্যাটফর্ম পাবেন, সেখান থেকে এসইও সম্পর্কে ভালো আইডিয়া নিতে পারেন। তবে একটা বিষয় জানেন তো, যতক্ষণ পর্যন্ত প্র্যাকটিক্যালি কাজ না করবেন ততক্ষণ পর্যন্ত আপনার একটা লেকিংস থেকেই যাবে। তো চলুন দেখি হাউ টু স্টার্ট অ্যা লোকাল এসইও বিজনেস ইন বাংলাদেশ।  

গুগল লোকাল এসইও Google Local SEO Key Points

প্রথমেই বলে নেই আপনারা যারা লোকাল এসইও কি সে সম্পর্কে জানেন না তারা এখানে ক্লিক করে জেনে নিতে পারেন। তো বলছিলাম যে কথা, গুগোল এসইও লোকাল বিজনেস এর কি পয়েন্ট গুলো দুটো ভাগে ভাগ করা হয়েছে। প্রথম ভাগে ক্লাইন্ট এর কাছ থেকে ইনফরমেশন নেওয়া এবং ইনফরমেশন গুলো নিয়ে প্রাথমিক কাজ শুরু করা। যে ইনফরমেশন গুলো ক্লায়েন্টের কাছ থেকে জেনে নিবঃ

  • বিজনেস এর গোল কি?
  • ক্লাইন্ট এর সাইট এবং অনন্যা সোসিয়াল প্রেজেন্ট।
  • কিওয়ার্ড জানা।
  • নেপ (NAP) কি?

প্রাথমিকভাবে যেভাবে কাজ শুরু করব। নিচের প্রসেস এর মাধ্যমে আমাদের কাজ শুরু করতে হবে।

  • ক্লাইন্টের বিজনেস গুগল কি চোখে দেখে?
  • ব্র্যান্ড ভ্যালু কেমন এবং নলেজ গ্রাফ?
  • ওয়েবসাইট গুগল ডাটাবেজে কি চোখে দেখে?
  • গুগল থ্রী প্যাক রেসাল্ট।

আমাদের এই প্রসেসগুলো খুব ভালোভাবে বুঝতে হবে। সবথেকে বড় কথা প্রাক্টিক্যালি আমাদের কাজগুলো দেখতে হবে। সো চলুন বিস্তারিত ভাবে এই বিষয়গুলো দেখি।

How to Do SEO For Local Business এসইও ফর লোকাল বিজনেস?

ক্লাইনের কাছ থেকে আমরা যে তথ্যগুলো জেনে নিব এবং সে অনুসারে কাজ শুরু করব তা বিস্তারিত দেয়া হলো। কাজ শুরু করার পূর্বে আমাদের এ তথ্যগুলো নিশ্চিত করতে হবে। সো চলুন দেখি কি কি তথ্য জানতে হবে।

বিজনেসএর গোল কি?

প্রথমে একটা বিষয় খোলাসা করি। আমাদের অনেকের মধ্যেই এটা কাজ করে যে, ক্লাইন্টকে কি বলব বা কিভাবে তার কাজ সম্পর্কে জানতে চাইবো। এই বিষয়টার জন্য আপনাদেরকে আমি বলবো, আপনারা প্রথমেই যেটা করবেন তা হলো। ক্লাইন্টকে আক্স করবেন যে তার গোল কি? তাকে বলবেন, আপনি যে আমার কাছ থেকে সার্ভিস চাচ্ছেন আপনি আমার কাছ থেকে কি আশা করেন? তখন হয়তো বা ক্লাইন্টকে আপনাকে একটা রিপ্লাই দিবে যে, সে তার ওয়েব সাইটের ভিজিটর বেশি চায় বা কাস্টমার বেশি চায়। বলতে পারে যে সে গুগলের টপ পজিশন চায়। অথবা এমন বলতে পারে যে, সে গুগলের ফাস্ট পেজে তার একটা পজিশন চায়।

ক্লাইন্ট এর সাইট এবং অনন্যা সোসিয়াল প্রেজেন্ট

ক্লাইন্টের কাছ থেকে গোল জানার পর আমাদের যে বিষয়টা জানতে হবে সেটা হচ্ছে। ক্লায়েন্টের ওয়েবসাইট বা বিজনেস সাইট। বিজনেস সাইট এর পাশাপাশি তার সোসিয়াল প্রেজেন্টগুলো যেমন তার ফেসবুক বিজনেস পেজ, টুইটার, লিঙ্কডইন, ইন্সট্রাগ্রাম, পিন্টারেস্ট এবং অন্যান্য সোসিয়াল প্রেজেন্ট এই সমস্ত অ্যাকাউন্ট গুলো নেয়া। যদি না থাকে তাহলে এই একাউন্টগুলো তৈরি করা।

টার্গেটেড কিওয়ার্ড জানা

তারপর যেটা করবেন, তাকে জিজ্ঞাসা করবেন তার কোন কিওয়ার্ডের আছে কিনা? যে কিওয়ার্ডের জন্য সে টপ পজিশন চায়। যদি থাকে তো ভালো, আর যদি তার কাছে কিওয়ার্ড না থাকে তাহলে আপনি কি ওয়ার্ড রিসার্চ করবেন এবং কী-ওয়ার্ড রিসার্চ দিয়েই কাজ শুরু করবেন। আপনি যদি কিওয়ার্ড রিসার্চ কিভাবে করে সে সম্পর্কে জানতে চান তাহলে এখানে ভিজিট করুন। এখানে একটা বিষয় খেয়াল করবেন কিওয়ার্ড রিসার্চের সময়। ক্লাইন্টকে জিজ্ঞাসা করবেন যে, সে কোন ধরনের ট্রাফিক বেশি চাচ্ছে মেইল ট্রাফিক চাচ্ছে না ফিমেল ট্রাফিক। যে ধরনের ট্রাফিক চাচ্ছে তাদের বয়স কেমন হবে, বা বয়সের রেঞ্জ কেমন হবে?

নেপ (NAP) কি?

নেপ একটি সংক্ষিপ্ত রূপ। NAP এর পূর্ণরূপ হচ্ছে নেম (Name), এড্রেস (Address) এবং ফোন নাম্বার (Phone number). অর্থাৎ ক্লাইন্টের বিজনেস নেম, বিজনেস নেম মূলত ওয়েবসাইটের যে ডোমেইন নেম থাকে সেই নামটাই হয়। তারপর অ্যাড্রেস, যেখান থেকে সার্ভিস দিবে এবং তার ফোন নাম্বার। ফোন নাম্বার এর ক্ষেত্রে অবশ্যই মোবাইল নাম্বার ব্যবহার করবেন, কোন ল্যান্ড লাইন নাম্বার না।

আমাদের মোটামুটি ক্লায়েন্টের কাছ থেকে সব ধরনের ইনফরমেশন নেওয়া শেষ। এখন আমরা আমাদের কাজ শুরু করতে পারি। একটি বিষয় মিস হয়ে গেছে সেটা হচ্ছে, অবশ্যই, অবশ্যই ক্লাইন্টের ইনভরমেশন গুলোর ব্যাকআপ রাখবেন। আপনি চাইলে গুগোল ড্রাইভ ব্যবহার করতে পারেন অথবা আপনি যেটাতে সিকিউর মনে করেন তেমন একটা প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করতে পারেন। সো এখন চলুন দেখি কিভাবে কাজ শুরু করা যায়।

ক্লাইন্টের বিজনেসগুগল কি চোখে দেখে?

আপনি ক্লাইন্টের কাছ থেকে সব তথ্য নিয়ে নিয়েছেন। এখন আপনার মেইন কাজ হবে গুগলে গিয়ে ক্লাইন্টের বিজনেস, গুগোল কেমন চোখে দেখে সেটা বের করা। এবং এটা বের করাটা খুব জরুরি কেননা আপনাকে সাইটের বর্তমান অবস্থা জানতে হবে।

সো আমাদের প্রথমেই যেটা করতে হবে সেটা হচ্ছে ক্লাইন্টের বিজনেস নেম নিয়ে গুগোল এ সার্চ দেওয়া। বিজনেস নেম লিখে সার্চ দিলে অবশ্যই প্রথমে ওয়েবসাইট টা আসতে হবে। যদি না আসে তাহলে প্রবলেম আছে। তো আমরা এটা বুঝলাম যে বিজনেস নাম দিয়ে সার্চ দিলে একেবারে প্রথম লিস্টে ওয়েবসাইট নেম আসবে। আপনারা নিচের ছবিটাতে দেখতে পাচ্ছেন যে বিজনেসনেম দিয়ে সার্চ দেয়াতে সর্বপ্রথম ওয়েবসাইট নেম আসছে। আমরা এখান থেকে দেখব যে, বিজনেস নে্ এড্রেস, ফোন নাম্বার এগুলো ঠিকঠাকমতো দেওয়া আছে কিনা এবং বিজনেসটা ভেরিফাই কিনা। এগুলো দেখার পরে একটা স্ক্রিনশট নিয়ে রাখবো।

ব্র্যান্ড ভ্যালু কেমন এবং নলেজ গ্রাফ?

ব্রান্ড এই বিষয়টা আমরা সবাই জানি, ওয়েব সাইটের টাইটেল যেটা থাকে সেটা হচ্ছে ব্রান্ড নেম। ব্র্যান্ড নেম লিখে সার্চ দিলে ডান সাইডে একটা বক্স আকারে আপনার বিজনেস টা শো হবে। এইযে ডান সাইডে বক্সের মধ্যে আপনার সাইটের রেজাল্টটা দেখতে পাচ্ছেন সেটাই হচ্ছে মূলত নলেজ গ্রাফ এবং এটাকে ওয়ান বক্স রেজাল্ট বলে। এই বক্সের মধ্যে আপনার সাইট থাকা মানে আপনার ব্র্যান্ড ভ্যালু আছে।

ওয়েবসাইট গুগল ডাটাবেজে কি চোখে দেখে?

ওয়েবসাইট গুগল ডাটাবেজে কিভাবে দেখে তা বের করার জন্য যেটা করবেন সেটা হচ্ছে। নিচের কোডটি দিয়ে সাইটটিকে গুগলে সার্চ দিবেন। site:https://www.domain.com

how-start-local-seo-business-in-bangladesh

এভাবে যদি আপনি সার্চ দেন তাহলে আপনি দেখবেন যে সাইটটা গুগলে ইনডেক্স করা আছে কিনা। ইনডেক্স করা থাকলে কতগুলো পেজ ইনডেক্স করা আছে। নিচের ফটোটা ভালো ভাবে খেয়াল করুন বুঝতে পারবেন যে বিষয়গুলো দেওয়া থাকবে। এখানে গুগল কতগুলো পেজ ইনডেক্স করছে, এবং সাইটটি গুগোল সার্চ কনসোলে ভেরিফাই কিনা সেটাও এখানে শো করবে।

গুগল থ্রী প্যাক রেসাল্ট

এবার আসি লোকাল বিজনেস এর ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি নিয়ে এবং সেটা হচ্ছে গুগোল থ্রী প্যাক রেজাল্ট বা গুগল লোকাল প্যাক নিয়ে। আপনি যদি কোন লোকাল কিওয়ার্ড নিয়ে সার্চ দেন তাহলে যে রেজাল্ট আসে তা হচ্ছে এই থ্রী প্যাক রেজাল্ট। আপনারা নিচের ফটোটা খেয়াল করুন। এখানে আমি যদি সার্চ দেই কফি শপ নিয়ার মি বা কফি শপ ইন ঢাকা তাহলে এই যে বক্স আকারে প্রথমে যে রেজাল্ট টা শো করতেছে এটাই হচ্ছে গুগোল থ্রী প্যাক রেজাল্ট।

আমাদের লোকাল এসইওর মেইন টার্গেটই হচ্ছে এই থ্রী প্যাক রেজাল্ট এর মধ্যে জায়গা করে নেওয়া। এবং এই থ্রী প্যাক রেজাল্ট এর নিচে অর্গানিক ভাবে যে পজিশন টা এসেছে সেখানে জায়গা করে নেয়া।

এই থ্রী প্যাক রেজাল্ট নিয়ে আমরা পরে বিস্তারিত জানব। তবে এখানে আমি সংক্ষেপে কিছু বলি সেটা হচ্ছে, আমরা যদি ফাস্ট সাইটে প্রবেশ করি তবে প্রথমেই দেখবো বিজনেস নেম, তারপরে হচ্ছে ওয়েবসাইট ডিরেকশন, সেভ। এবং নিচের দিকে যদি দেখি তাহলে আমরা দেখতে পাব এড্রেস আছে, ফোন নাম্বার আছে এবং কখন খোলা থাকে কখন বন্ধ থাকে সেটা আছে।

ফ্রিকোয়েন্টলি আকসড কোশ্চেন / অ্যানসার

ডোমেইন নেম এবং বিজনেস নেম সম্পর্কে যদি একটু ভালোভাবে বলতেন

উঃ দেখুন আপনার ডোমেইন নেমটি কিন্তু হবে আপনার বিজনেস নেম এক্ষেত্রে অন্য কোন নাম দিবেন না। যদিও অনেকে ডোমেন নেম এর পাশাপাশি কিওয়ার্ড টাও দেয়। এটা গুড প্র্যাকটিস না, এটা অনেকটা গ্রে হেড টেকনিক হয়ে যায়। আমরা এখানে কমপ্লিটলি হোয়াইট হ্যাট টেকনিক ফলো করবো। আমি যদি বলি আমার ডোমেন নেম বা ওয়েব সাইট নেম হচ্ছে seoagencybangladesh.com সেক্ষেত্রে আমার বিজনেস নেম হবে SEO Agency Bangladesh অন্য কোন নাম দিবেন না। দিলে যেকোনো সময় গুগল আপনাকে পেনাল্টি দিতে পারে। ক্লাইন্টের সাইট এর ক্ষেত্রে এই রিক্স ভুলেও নিবেন না।

আমি চেষ্টা করেছি সব ইনফরমেশন দেওয়ার জন্য। তারপরেও যদি কোন ইনফরমেশন মিস হয়ে থাকে আপনাদের যদি কোন কিছু জানার থাকে তাহলে কমেন্টে জানাবেন। এবং আর্টিকেলটা ভালো লাগলে অবশ্যই লাইক, শেয়ার করবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *