E-commerce SEO in Bangladesh
বর্তমানে বাংলাদেশে ই-কমার্স ওয়েবসাইট একটি ট্রেন্ডিং এর মত। আমরা এখন অনেকটাই ডিজিটালাইজড হয়ে গেছি এবং অনলাইনে কেনাকাটা করছি। যেখানে গত ১০ বছরেও এই সেক্টরটি এত জনপ্রিয় ছিল না, সেখানে এখন অনেক বড় বড় ই-কমার্স সাইট সৃষ্টি হয়েছে। যেহেতু এই ফিল্ডটি এখন অনেকটা জনপ্রিয় এবং অনেক সাইট হয়ে গেছে, তাই এখানে কম্পিটিশনও অনেক বেড়ে গেছে। আর এই কম্পিটিশনে টেক্কা দিয়ে কে কার থেকে উপরে থাকবে সেই চেষ্টা থেকেই এসইওর চাহিদাও অনেক বেড়ে গেছে। সো চলুন আমরা ডিটেইলসে জানি ই-কমার্স এসইও ইন বাংলাদেশ।
What is E-commerce SEO?
ই-কমার্স এসইও বলতে কোন একটা অনলাইন স্টোর কে সার্চ ইঞ্জিন রেজাল্ট পেজে নিয়ে আসা কেই বোঝায়। অন্য ভাবে বলা যায় কোন একটি স্টোরকে সার্চ ইঞ্জিন রেজাল্ট নিয়ে আসতে যে ধরনের কাজ করতে হয় তাই বোঝায়।
আমরা চাই যে আমাদের কোন প্রোডাক্ট টপ রেঙ্কে থাকুক অথবা কোন ক্যাটাগরি টপ রেঙ্কে থাকুক। আর এই কাজটাই মূলত এসইও এর মাধ্যমে করা হয়। এই কাজটা আমরা পেইড অ্যাডভার্টাইজমেন্ট এর মাধ্যমেও করতে পারে কিন্তু এটা ব্যয়বহুল অন্যদিকে এসইও তুলনামূলকভাবে কম ব্যয়বাহুল।
Steps We Should Follow to Do E-commerce SEO in Bangladesh
১. অধিকাংশ ক্ষেত্রেই আমরা ই-কমার্স সাইটে কিওয়ার্ড রিসার্চ করব ক্যাটাগরি এর জন্য। সিঙ্গেল প্রোডাক্টের জন্য কিওয়ার্ড রিসার্চ খুব কমই হয় তারপরেও যদি কোন স্পেসিফিক প্রোডাক্ট থাকে, যেটার জনপ্রিয়তা বেশি সে ক্ষেত্রে সেটির জন্য আবার কিওয়ার্ড রিসার্চ করা যেতে পারে।
২. এক্ষেত্রে একটি ব্রড পেজকে টার্গেট করব এবং সেই ব্রড পেজে একই ধরনের প্রোডাক্ট থাকতে পারে।
৩. একটি সুন্দর এবং ইউনিক প্রোডাক্ট ডেসক্রিপশন দেয়া। এক্ষেত্রে কম করে হলেও ১০০ ওয়ার্ডের প্রোডাক্ট ডেসক্রিপশন দেয়া।
৪. ইমেজ এর ক্ষেত্রে সকল ইমেজ এর GEO Tag দেয়া।
৫. ই-কমার্স ওয়েবসাইট এর ইমেজ রেজুলেশন ভালো দিতে হবে। আবার ইমেজ রেজুলেশন ভালো দিতে গেলে সাইটের স্পিড কমে যাবে, তাই এক্ষেত্রে সিডিএন (CDN) ব্যবহার করা।
৬. ছোট ছোট সাইটে ফ্রী ক্লাউডফ্লেয়ার(Cloudflare) এর সিডিএন (CDN) ব্যবহার করে কাজ করা যাবে। কিন্তু বড় সাইটের জন্য অবশ্যই পেইড সিডিএন (CDN) লাগবে। লোকাল সাইডে ফ্রি সিডিএন দিয়ে কাজ চলে যায়। খুব যে ভালো পারফরম্যান্স পাবেন তেমন না, তবে চলে। আর বড় সাইটের জন্য ইউজ করাই ভালো।
৭. টার্গেট পেজকে হোমপেজ থেকে এবং ব্লক পেইজ থেকে ইন্টারনাল লিংক করাতে হবে। প্রোডাক্ট পেজে যখন ক্লিক হয় ওই প্রোডাক্ট পেজ থেকেও ইন্টার্নাল লিংকিং করানো যাবে। লিংকিং অবশ্যই রিলিভ্যান্ট পেজ থেকে করতে হবে।
৮. সিঙ্গেল প্রোডাক্টের জন্য কাজ করতে হবে। সিঙ্গেল প্রোডাক্টের জন্য আমরা নিচের বিষয়গুলো করব।
- ইমেজ অপটিমাইজেশন
- টাইটেল দেওয়া এবং টাইটেল এর মধ্যে কিওয়ার্ড রাখা
- প্রোডাক্ট ডেসক্রিপশন দেয়া, ডেসক্রিপশনকে দুটি ভাগ করে ফেলা। প্রথম অংশে অভার্ভিউ এবং দ্বিতীয় অংশে ফুল ডেসক্রিপশন দেয়া।
- FAQ সেকশন দেওয়া।
- হেডিং ট্যাগ দেওয়া।
- প্রোডাক্টের জন্য স্কিমা মার্ক আপ করা।
- নেভিগেশন সিম্পল করা, স্টেপ গুলো আলাদা করা এবং সুন্দরভাবে দেখান।
- অ্যাড টু কার্ড(Add to Cart), চেক আউট(Check out) এবং প্লেস অর্ডারকে(Place order) কে যত সম্ভব পারা যায়, সিম্পল রাখা।
৯. ক্যাটাগরি বেজ কাজ করা এবং পুরো সাইটে একবারে হাত না দেওয়া।
১০. ডিজাইনের কোন চেঞ্জ এর প্রয়োজন হলে সে ক্ষেত্রে ডিজাইনের চেঞ্জ করা।
Tips for E-commerce SEO Optimization
- ক্যাটাগরির প্রতি বিশেষ খেয়াল রাখতে হবে এবং ক্যাটাগরিকে ভালোভাবে অপটিমাইজেশন করতে হবে।
- লোকাল বিসনেস হলে প্রতিটি ইমেজের জিওট্যাগ GEO Tag করতে হবে।
আপনারা যারা জানেননা GEO Tag কিভাবে করতে হয় তারা এখান থেকে দেখতে পারেন।
- ডুবলিকেট টাইটেল, ডুবলিকেট মেটা ডেসক্রিপশন, ডুবলিকেট প্রোডাক্ট ডেসক্রিপশন এগুলোর প্রতি খেয়াল রাখতে হবে। যদি একই প্রোডাক্ট এর কালার ভিন্ন ভিন্ন হয় কিন্তু ডেসক্রিপশন একই রকম, সে ক্ষেত্রে একটি প্রোডাক্টকে লিংক রেফারেল করতে হবে।
- FAQ সেকশনে একটিভ থাকা এবং যথাযথ ইনফরমেশণ দেওয়া।
আপনাদের ই-কমার্স এসইও এর ক্ষেত্রে কোন কিছু জানার থাকলে কমেন্ট এর মাধ্যমে জানাতে পারেন। আমি চেষ্টা করব যথাযথ উত্তর দেওয়ার জন্য। আপনারা আমার ইউটিউব চ্যানেল থেকেও ই-কমার্স এসইও সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারেন এবং আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে একটিভ থাকতে পারেন।